বেখেয়ালি শ্রাবন
তনয়া তিশা
শ্রাবনে নীল আকাশের বুক জুড়ে হঠাৎ কালো মেঘের ঘনঘটা!
আমি বসে আছি অনাকাঙ্ক্ষিত পলসা-পলসা বৃষ্টির আশায়।
আমার চোখগুলো উৎসুক হয়ে,খুজবে তোমায়!
তুমি কি আসবে বৃষ্টি হয়ে,প্রতি ফোটায় আমাতে মিশে যাবে।
দু-হাতে তোমায় আলিঙ্গন করবো,
তুমি বাড়িয়ে দিবে “ঠোঁটের” উষ্ণতা! ¡
তুমি কি চোখের ভাষা বোঝ?
আমার চোখ গুলো কি চায় বুঝবে তো?
প্রশ্নটা বড়ই জটিল তাইনা?
অঝোর শ্রাবনে তুমি বইবে আমার অঙ্গ জুড়ে!ঝাপটায় খুলে যাবে খোপার বাঁধন!
তুমি কি আঙুল ছুয়ে সরিয়ে দেবে তাদের!
নাকি বলবে!থাকুক না!
তাদের বিরক্তিতে তোমায় বড্ড বেশিই সুন্দর লাগছে!
বৃষ্টিতে মাঘের কনকনে শীতের মতোয়,হীম জাগাবে শরীরের শিরা-উপশিরায়!
তুমি কি জড়িয়ে ধরবে?
নাকি কাছে টেনে কপোলে একটা “চুমু” একে দিবে!
হয়তো দ্বিগুণ হয়ে যাবে আমার শরীরের তাপমাত্রা!
ভীষণ জ্বর হলে যেমনটা হয়।
অজানা কোন শঙ্কায় যদি কেঁদে ফেলি!
তুমি কি তফাৎ বুঝবে এটা অশ্রু নাকি বৃষ্টি?
শেওলায় পা ফেলে যদি পিছলে যাই, তুমি কি সামলে নেবে, নাকি বেখেয়ালি অবস্থা দেখে খিলখিলিয়ে উঠবে!!
এই মৌসুমি বৃষ্টি তে ভিজবো বলে যদি ছেলেমানুষী করে ফেলি,
তুমি কি ভীষণ করে বকবে–নাকি হাতটা ধরে তুমিও করবে ছেলেমানুষী।
তুমি কি হুমায়ুন আহমেদের হিমুর মতো বর্ষায় হাতে কদম নিয়ে আসবে?
কিছু অপরাজিতাও আনতে পারো।
ভাবনা গুলো বেখেয়ালি শ্রাবন।দৃষ্টিজুড়ে তুমি,দৃষ্টিগোচরেও তুমি ছুয়ে থাকো আমার মন।
এ মৌসুমে চায়ের কাপে চুমুকে চুমুকে দেখি, লেগে থাকো আমার ওষ্ঠজুড়ে!